JSC EXAM TIPS OVERALL for Students & Guardians
পরীক্ষাকালীন সন্তানদের দিকে বাড়তি মনোযোগ দেন
ব্রিগে. জেনারেল এম এম সালেহিন
অধ্যক্ষ, রাউজক উত্তরা মডেল কলেজ
পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে ভালো প্রস্তুতির পাশাপাশি শারীরিকভাবেও সুস্থ থাকা জরুরি। শুধু নিয়মিত পড়াশোনা করলেই চলবে না, ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করতে হবে এবং পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। পরীক্ষা সামনে, তাই খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিলে চলবে না। সুস্থ থাকার জন্য পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। তাহলেই প্রস্তুতি ভালো হবে, সেই সঙ্গে সুস্থও থাকা হবে। তাই তোমাদের উদ্দেশে বলছি, নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেদের স্বাস্থ্যের
দিকেও নজর রাখবে। আর অভিভাবকদের উদ্দেশে বলছি, পরীক্ষা চলাকালীন সন্তানদের দিকে বাড়তি মনোযোগ দেন। তারা নিয়মিত ঘুমাচ্ছে কিনা, ঠিকমতো খাচ্ছে কিনা সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন।
ভালো ফলাফল করার তাড়া দিচ্ছেন কিন্তু তারা এ মুহূর্তে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে কিনা এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। ভালো পরীক্ষার জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকা একান্ত প্রয়োজন তা মাথায় রাখতে হবে। তোমরা সুস্থ সবল থেকে ভালোভাবে ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা শেষ কর এ কামনা করছি।
পরীক্ষার রুটিন সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখবে
মোসা. সুফিয়া খাতুন, অধ্যক্ষ
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে হলে খাতায় প্রশ্নের উত্তরও যথাযথ হতে হবে। প্রশ্নের মান অনুযায়ী উত্তর করতে পারছ কিনা সেদিকে খেয়াল রাখবে। অর্থাৎ পাঁচ নম্বরের জন্য যতটুকু লেখা দরকার টু দ্য পয়েন্টে সেটুকুই লিখবে। বেশি নম্বর পাওয়ার আশায় বাড়তি কিছু লিখতে যাবে না। তাহলে সময় তো নষ্ট হবেই সেই সঙ্গে হিতে বিপরীতও হতে পারে। তাই প্রতিটি প্রশ্নে যা চাওয়া হয় তা-ই সঠিকভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করবে। পরীক্ষার সময় আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখবে। তা হলো কোন বিষয়ে কতটি প্রশ্নের উত্তর চাওয়া হয়েছে তা যেন ভুল না হয়। অর্থাৎ ছয়টি প্রশ্নের উত্তর করতে বলা হয়েছে অথচ তুমি সাতটি বা পাঁচটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ফেললে এমনটি যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখবে। আর পরীক্ষার রুটিন সম্পর্কে সম্যক ধারণা রাখবে। অর্থাৎ কোন দিন কোন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে তা যেন তোমাদের মাথায় থাকে। সেজন্য রুটিনের একটি কপি পড়ার টেবিলে সাঁটিয়ে রাখতে পার। অভিভাবকদেরও এ বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখা উচিত। তোমাদের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
শরীর সুস্থ রাখ, মন উৎফুল্ল কর
ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা, অধ্যক্ষ
সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
জেএসসি অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণের পর তোমরা জীবনে কী হতে চাও সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ আসবে। তাই খুব যত্নের সঙ্গে পরীক্ষা শেষ করতে হবে।
পরীক্ষা শুরু হতে হাতে একেবারেই সময় নেই। তারপরও এই কদিনে কোথাও যদি একটু-আধটু দুর্বলতা থাকে কিংবা সৃজনশীল বিষয়গুলোতে যদি চর্চার প্রয়োজন পড়ে তা সেরে নাও। ভয় নেই, দুশ্চিন্তা করবে না, ওসব তোমাদের সাহসের কাছে অনেক আগেই পালিয়েছে। সবচেয়ে বড় যে দিক তা হলো তোমাদের শরীর ও মন। শরীর সুস্থ রাখ, মন উত্ফুল্ল কর, পরীক্ষা তোমাদের কাছে আনন্দঘন অনুষ্ঠানে পরিণত হবে। প্রয়োজনীয় উপকরণ যেমন এডমিট কার্ড, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, পর্যাপ্ত বল পয়েন্ট পেন, প্রয়োজনবোধে সাবনোট লেখার সিগনেচার পেন, স্কেল, পেনসিল, ইরেজার, কাটার, এখনই স্বচ্ছ ব্যাগে গুছিয়ে রাখ। তাহলে তুমিই হবে জেএসসির একজন স্মার্ট পরীক্ষার্থী।
তোমাদের সঙ্গে শিক্ষকবৃন্দ ও বাবা-মায়ের দোয়া আছে। তোমাদের পরীক্ষা মনের মতোই হবে। তোমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।
সামান্য ব্যবহৃত কলম দিয়ে লিখবে
এইচ এম জারীফ, অধ্যক্ষ
থ্রি ফিংগারস হ্যান্ড রাইটিং ডেভেলপমেন্ট একাডেমি, ঢাকা
পরীক্ষার্থীরা, শুভেচ্ছা রইল। খাতায় লেখা কীভাবে উপস্থাপন করলে বেশি নম্বর পাবে এ ব্যাপারে কয়েকটি টিপস দেওয়া হলো— কলম কোনোভাবেই শক্ত করে ধরে লিখবে না। বর্ণ ঘন শব্দ ফাঁকা রাখবে। লেখা যেন খুব ছোট ছোট বা খুব বড় বড় না হয়। শব্দ থেকে শব্দের মাঝে ২/৩ বর্ণ ফাঁকা দেবে এবং লাইন থেকে লাইনের মাঝে আধা-ইঞ্চি বা এক আঙ্গুল ফাঁকা দিতে পার। প্রতি পৃষ্ঠায় লেখার সাইজ অনুযায়ী ১১-১৩ লাইন এবং প্রতি লাইনে ৬-৭ শব্দ লিখতে পার। প্যারা থেকে প্যারার মাঝে এক ইঞ্চি ফাঁকা দেবে। কলমটি বলপেন এবং কালি গাঢ় কালো হওয়া উচিত। এ ধরনের পরীক্ষায় ঝর্ণা বা ফাউন্টেনপেন ব্যবহার করা ঠিক নয় এবং সামান্য ব্যবহৃত বলপেন দিয়ে লিখলে ভালো হয়। লেখার পরে ভুল বুঝতে পারলে এক টান দিয়ে কেটে দেবে এবং শুদ্ধ লেখাটি উপরে লিখবে। বামে ও উপরে এক স্কেল (এক ইঞ্চি) মার্জিন দেবে এবং ডানে ও নিচে কোনো মার্জিন দেবে না কিন্তু আধা ইঞ্চি সমপরিমাণ জায়গা ফাঁকা রাখার চেষ্টা করবে এবং যাদের হাত প্রচুর ঘামায় তারা টিসু পেপার কাছে রাখতে পার। শুভ কামনা।
ভালো পরীক্ষার জন্য ভালো ঘুম প্রয়োজন
লে. কর্নেল কাজী শরীফ উদ্দিন, ইবি
অধ্যক্ষ, মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
পরীক্ষার আগের রাত খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এ রাতে শুধুই পরবর্তী দিনের পরীক্ষার বিষয়ে মনোযোগ দিয়ে বার বার অনুসরণ করতে হবে। অর্থাৎ কোন বিষয়ে কতটি প্রশ্ন থাকবে, কতটি প্রশ্নের উত্তর লিখতে হবে এসব। ঠিকমতো খেতে হবে। কোনো অবস্থাতেই বেশি রাত পর্যন্ত জাগা যাবে না। ভালো পরীক্ষার জন্য ভালো ঘুম প্রয়োজন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রবেশপত্র, কলম, পেনসিল, ইরেজার, স্কেল ইত্যাদি গুছিয়ে রাখবে। কারণ পরের দিন পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় যদি এসব গোছাতে যাও তাহলে সময়ের অপচয় হবে। তাড়াহুড়ার কারণে অস্থিরতায় ভুগতে হবে এবং ভুল হতে পারে। তাই পরীক্ষার উপকরণ অবশ্যই রাতে ঠিকঠাক করে রাখবে। কেন্দ্রে প্রবেশের আগে অবশ্যই দেখে নেবে সঙ্গে প্রবেশপত্র এবং পরীক্ষাসংক্রান্ত
সব উপকরণ আছে কিনা। অবাঞ্ছিত কিছু সঙ্গে নেওয়া যাবে না। কমপক্ষে ১৫ মিনিট আগে অবশ্যই তোমার আসন গ্রহণ করবে। বন্ধুদের সঙ্গে হৈচৈ না করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে একটু চিন্তা করবে। প্রশ্নপত্র পাওয়ার পর প্রথমে তা অবশ্যই পড়তে হবে। প্রশ্ন বুঝে যথাযথ উত্তর প্রদান করবে। উত্তরপত্রে কাটাকাটি করবে না। ছবি অঙ্কনের প্রয়োজন হলে অবশ্যই পেন্সিল দিয়ে আঁকবে। বানান ভুল করা যাবে না। উত্তরপত্রে ক্রমিক নম্বর প্রশ্নের দাগ নম্বরটি সঠিকভাবে লিখতে হবে। উত্তর লেখা শেষে অবশ্যই রিভিশন দেবে। মনে রাখবে, পরীক্ষার কেন্দ্রে সময় বণ্টন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সব বিষয়ে সমান গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে
বশির আহাম্মেদ ভূঁইয়া
প্রতিষ্ঠাতা ও অধ্যক্ষ, ট্রাস্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ
শুভেচ্ছা রইল। আর কিছু দিন পরেই তোমাদের পরীক্ষা। এখন চলছে তোমাদের দীর্ঘদিনের শ্রমলব্ধ মেধা ও মননের চূড়ান্ত মহড়া। তুমুল প্রতিযোগিতাপূর্ণ
বিশ্বে আজ তোমাদের বসবাস। এ বিশ্বে টিকে থাকার জন্য প্রয়োজন সময়ের সদ্ব্যবহার আর যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা। সময়ের সদ্ব্যবহার করার উপযুক্ত ধাপ হলো ছাত্রজীবন। আর জেএসসি পরীক্ষা হচ্ছে ছাত্রজীবনের বিভিন্ন প্রতিযোগিতার
একটি বিশেষ ধাপ। তবে এই পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য কৌশল অনুসরণ করতে হবে। বাকি সময়টুকুতে রুটিন অনুসারে পড়ালেখা চালিয়ে যাও। সব বিষয়ে সমান গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। রুটিন করে দৈনিক ছয়-সাত ঘণ্টা পড়াশোনা করলেই ভালো ফলাফল করতে সক্ষম হবে। মনে রাখবে, এই পৃথিবীতে কেউ কাউকে জায়গা করে দেয় না, নিজের যোগ্যতা ও কর্মদক্ষতা দ্বারা প্রতিটি মানুষকে তার নিজের জায়গা অর্জন করে নিতে হয়। সুতরাং ভালো করে পড়ালেখা করে তোমাদেরকে নিজের অধিকারটুকু ছিনিয়ে আনতে হবে। তোমাদের জন্য অনেক অনেক দোয়া, ভালোবাসা ও শুভ কামনা রইল।
ভয় নামক শব্দটি জয় করতে হবে
নাসরীন নঈম, সাবেক প্রধান শিক্ষক
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
প্রিয় পরীক্ষার্থীরা,
আশা করছি তোমরা মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থ আছ। তোমরা ইতিমধ্যে পিএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছ বিধায় জেএসসি নিয়ে তোমাদের মনে কোনো ভয় থাকার কথা নয়। প্রথমে মনে রাখবে, প্রতিটি বিষয়ে পাঠ্যসূচির অন্তর্গত প্রশ্নগুলোর
গুরুত্ব অনুভব করে উত্তর লিখতে হবে। সিলেবাস অনুযায়ী পাঠ্যবইগুলো ভালো করে রপ্ত করাই হচ্ছে পরীক্ষার্থীর মূল কাজ। কোনো নোট বই বা গাইড বই না ছুঁয়ে শুধু পাঠ্যবইটি পড়বে। পরীক্ষার সময় প্রতিটি প্রশ্নের মান অনুযায়ী উত্তর লিখবে। বানান শুদ্ধ করে লেখার চেষ্টা করবে। হাতের লেখা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবে যাতে পরীক্ষক পাঠোদ্ধার করতে পারেন। নৈর্ব্যক্তিক অংশের উত্তরদানের সময় ভেবেচিন্তে বৃত্ত ভরাট করবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উত্তর শেষ করার অনুশীলন এখন থেকেই করবে। এ মুহূর্তে নতুন করে কিছু মুখস্থ করতে যাবে না। এখন শুধু রুটিন অনুযায়ী সব বিষয় রিভিশন দেবে। শরীর-মন দুটোই যেন সুস্থ-স্বাভাবিক থাকে সে চেষ্টা করবে। ‘ভয়’ নামক শব্দটি জয় করতে হবে। বেশি রাত জাগবে না। সবচেয়ে বড় কথা ও একমাত্র কথা হলো আত্মবিশ্বাস-ই তোমাদেরকে সাফল্যের শিখরে নিয়ে যাবে। সবাই ভালো থাকবে। সুস্থ থাকবে। পরীক্ষা নিয়ে কোনো টেনশন নয়। হাসিমুখে পরীক্ষা দিয়ে সবাই সুস্থভাবে বাড়ি ফিরবে এই প্রত্যাশা।
খাতার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখবে
ব্রি. জে. মো. আবদুল হান্নান অধ্যক্ষ,
ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ
আশা করি তোমরা সবাই ভালো আছ। আর কদিন বাদেই তোমাদের পরীক্ষা। এ সময়টা তোমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তাই তোমাদের এখন সুস্থ থাকতে হবে। আর সুস্থ থাকার জন্য যেমন সুষম খাদ্য খাবে, তেমনি সময়মতো বিশ্রাম নেবে। কোনো অনিয়ম করবে না। আমি জানি তোমাদের পরীক্ষা প্রস্তুতি প্রায় শেষ হয়েছে। তবু হয়তো মনের ভিতর অজানা এক ভয় কাজ করছে। কিন্তু ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। তোমরা পাঠ্যবইগুলো আরও মনোযোগ দিয়ে পড়বে। মনে রাখবে, ভালো ফলাফলের জন্য পাঠ্যবই আত্মস্থ করার কোনো বিকল্প নেই। রুটিন করে প্রতিটি বিষয় নিয়মিত পড়বে। খেয়াল রাখবে পরীক্ষার খাতাটি যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে। হাতের লেখা যেন স্পষ্ট হয় যাতে পরীক্ষক উত্তরটি ভালোভাবে পড়তে পারেন। মনে রাখবে সুন্দর, পরিচ্ছন্ন ও স্পষ্ট লেখা পরীক্ষককে আকৃষ্ট করে। পরীক্ষার্থী সম্পর্কে তাদের ধারণা ভালো হয়। এ জন্য বেশি কাটাকাটি করবে না। খাতার পরিচ্ছন্নতা
বজায় রাখবে। পরীক্ষার সময় শেষ হওয়ার অন্তত পাঁচ মিনিট আগে উত্তর লেখা শেষ করবে এবং অবশ্যই রিভিশন দেবে।
নতুন করে কিছু পড়বে না
হামিদা আলী, প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ
সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
প্রত্যেকে নিশ্চয়ই নিজেদের সামর্থ্য ও মেধা অনুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহণ করছ। সামর্থ্য ও মেধার বাইরে গিয়ে কিছু করতে যেও না। অভিভাবকদেরও
উচিত এ ব্যাপারে তাদের সন্তানদের চাপ না দেওয়া। এতদিন যা কিছু পড়েছ তাই এখন কেবল রিভিশন দাও। নতুন করে কিছু পড়তে যেও না। মনে রাখবে, নিজেদের মেধা অনুযায়ী যা কিছু শিখেছ তাই নিখুঁত ও নিটলভাবে পরীক্ষার সময় খাতায় উপস্থাপনের চেষ্টা করবে। তাহলেই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাবে। উত্তর উপস্থাপনের সময় খেয়াল রাখবে হাতের লেখা যেন সুন্দর, স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন হয়। সেই সঙ্গে কোনো একটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় তার প্রশ্ন নম্বর ঠিকভাবে মিলিয়ে নেবে। অর্থাৎ এক প্রশ্নের উত্তরে অন্য প্রশ্নের উত্তর যেন করে না ফেল সেদিকে খেয়াল রাখবে। আর অভিভাবকদের উদ্দেশে বলছি, পরীক্ষা সামনে রেখে ও পরীক্ষাকালীন সন্তানরা ঠিকমতো খাচ্ছে ও ঘুমাচ্ছে কিনা সেদিকে খেয়াল রাখবেন। চাপ না দিয়ে বরং পরীক্ষায় কীভাবে ভালো করা যায় সে ব্যাপারে তাদের উৎসাহ প্রদান করেন। মেধার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে তোমরা পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত ফলাফল লাভ কর এ কামনা করছি।
সময়মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে
প্রফেসর মু. জিয়াউল হক
চেয়ারম্যান, বরিশাল শিক্ষা বোর্ড
এ মুহূর্তে মনোযোগ সহকারে আগের পড়া বিষয়গুলো বারবার রিভিশন দেবে। নতুন করে আর কিছু মুখস্থ না করে ইতিমধ্যে যেগুলো পড়েছ সেগুলো ভালো করতে আত্মস্থ করার দিকে মনোযোগ দাও। পরীক্ষা নিয়ে উদ্বিগ্ন কিংবা উত্তেজিত হওয়া যাবে না। স্বাভাবিক আচরণ করতে হবে। সময়মতো খাওয়া-দাওয়া করতে হবে, পড়তে হবে এবং ঘুমাতে হবে কারণ পরীক্ষার আগে তোমাদের শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। এ সময়ের মধ্যে তোমাদের কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করা ঠিক হবে না। সৃজনশীল ও অন্যান্য অংশের যেন যথাযথভাবে উত্তর করতে পার সেদিকে খেয়াল রাখবে। সময়মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছবে।
নিজের প্রতি আস্থা রাখ ভালো করবে
লায়ন এম. কে. বাশার পিএমজেএফ
চেয়ারম্যান, বিএসবি-ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপ
শুভেচ্ছা নিও। পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের জীবনে একটা গতানুগতিক বিষয়। শিক্ষাজীবনের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়াও।
তোমরা কতটুকু জ্ঞানার্জন করেছ, কতটুকু বিদ্যা আয়ত্ত করেছ এটার মাপকাঠি হচ্ছে পরীক্ষা। নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখ, ভালো করবে। বিদ্যার্জন এক ধরনের সাধনা। যে সাধনার মধ্যে লুকিয়ে আছে তোমার স্বপ্ন। তোমার বাবা-মা’র প্রত্যাশা। সেই প্রত্যাশা পূরণে প্রয়োজন একটি ভালো ফলাফল। পরীক্ষায় ভালো ফল অর্জনের জন্য ভালো পড়াশোনা যেমন দরকার, তেমনি কতিপয় কলাকৌশলও রপ্ত করা দরকার। ভালো ফল অর্জন করে শিক্ষা জীবনকে শাণিত করবে এবং যোগ্য হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলবে। প্রত্যাশা করি এমন মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুল যাতে তোমার পরিবার, সমাজ এবং দেশের অগ্রগতিতে তোমাদের অবদান জননন্দিত হয়। তোমরা যেন মানুষের জন্য, দেশের জন্য, আত্মনিবেদিত মানুষ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পার। পরীক্ষা এড়ানোর চেষ্টা কর না বরং জয় করার চেষ্টা কর। জেএসসিতে তোমাদের সর্বোচ্চ সাফল্য কামনা করছি।
No comments